চিয়া সিড: ক্ষুদ্র বীজের বিশাল উপকারিতা
চিয়া সিড অতি ক্ষুদ্র একটি বীজ। তবুও এই ক্ষুদ্র বীজের রয়েছে বিশাল উপকারিতা।
চিয়া সিড এর রয়েছে অনেক বেশি পুষ্টিগুণ।যেমন:এতে রয়েছে দুধ এর চেয়ে ৫ গুণ বেশি ক্যালসিয়াম,পালংশাক এর চেয়ে ৩ গুণ বেশি আয়রন,কমলার চেয়ে ৭ গুণ বেশি ভিটামিন।স্যামন মাছের চেয়েও ই গুন বেশি ওমেগা-৩ রয়েছে। আরও আছে কলার চেয়ে ২ গুন বেশি পটাশিয়াম,মুরগির ডিমের চেয়ে ৩ গুন বেশি প্রোটিন। এছাড়াও এতে আরও রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ও ক্যাফিক অ্যাসিড নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় খাদ্য আঁশ।
চিয়া সিড এর উপকারিতা
১।চিয়া সিড এ অনেক বেশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।
২।যাদের ডায়াবেটিস সমস্যা আছে তাদের ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি কমে যায় এই বীজ খেলে।
৩।চিয়া সিড কোলন পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে যার ফলে কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমে।
৪।এটি নিয়মিত খেলে অ্যাসিডিটির সমস্যা কমে যায়।
৫।প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এটি রাখলে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল দূর হয়।
৬।মেটাবলিক সিস্টেমকে আরো উন্নত করে যার। ফলে ওজন কমে যায় দ্রুত।
৭।চিয়া সিডে রয়েছে ওমেগা-৩ যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
এটি খাওয়ার সবচেয়ে সহজ নিয়ম হলো পানিতে ভিজিয়ে খাওয়া। কেউ চাইলে সিরিয়াল, রান্না করা সবজি বা সালাদের ওপরে ছরিয়েও খেতে পারেন অথবা স্মুদি ইত্যাদির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়ে নেওয়া যায়। অনেকে এটিকে শরবতের সাথে ব্যবহার করেও খেয়ে থাকে। তবে সবচেয়ে উপকারিতা পাওয়া যায় যখন স্বাভাবিক পানি কিংবা হালকা কুসুম গরম পানিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট রেখে এবং পরবর্তীতে সকালে খালি পেটে খেয়ে থাকেন আবার ঘুমানোর আগেও একই পদ্ধতিতে খেয়ে থাকেন।
চিয়া সিড খাওয়ার নিয়ম
১।গবেষণায় জানা গেছে, চিয়া সিড প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং স্তন ক্যান্সারকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই ভালোর কথা ভেবে বেশি বেশি না খেয়ে এটি সীমিত পরিমাণে ব্যবহার করা উচিত।
২।যেকোনো জিনিস পরিমাণের থেকে বেশি খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে।
৩।আমরা ওজন কমাতে বেশিরভাগ চিয়া সিড খেয়ে থাকি তবে অতিরিক্ত চিয়া সিড খেলে ওজন অস্বাভাবিকভাবে কমে যেতে পারে, এটি খারাপ হতে পারে।
সব জিনিসেরই ভালো-খারাপ থাকে। চিয়া সিডে ভালোর পরিমাণ বেশি হলেও কিছুটা খারাপ প্রভাবও দেখা যায় মাঝে মাঝে। এটা ব্যবহারের উপরও নির্ভর করে।
আশা করছি আমাদের এই ভিডিওটি আপনাদের উপকারে আসবে।
আরো জানুনঃ
শীতের সময় কলা খাবো নাকি খাবো না ? কলার উপকারিতা।
পাইলস হওয়ার কারণ লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহ এবং চিকিৎসা।
সর্দি কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা(Common cold and influenza)
ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।
ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।
সাইনোসাইটিস কী?লক্ষণ,করণীয় এবং চিকিৎসা।
নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।
চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।
শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।