জাফরান কি ?
জাফরান একটি সুগন্ধি ফুলের একটি ক্ষুদ্র অংশ যা মধুর মতো গন্ধযুক্ত এবং এটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মশলা। এটিতে পুষ্টি উপাদান রয়েছে এবং এটি ভিটামিনের একটি অন্যতম উৎস। এছাড়াও এর রয়েছে বহু ইতিহাস এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব।
জাফরানের পরিচিতিঃ
জাফরান মূলত Crocus sativus নামক উদ্ভিদের ফুল থেকে সংগ্রহ করা হয়।জাফরান এর মুল অংশ হলো গর্ভমুণ্ড ,যা শুকিয়ে ব্যবহারের উপযোগী করা হয়।
উৎপত্তি ও ইতিহাসঃ
জাফরানের উৎপত্তি হয় প্রায় ৩৫০০ বছর পূর্বে। ধারণা করা হয়, এটি প্রথম পারস্য (বর্তমান ইরান) অঞ্চলে চাষ শুরু হয়। পরবর্তীতে এটি গ্রিস, ভারত, স্পেন এবং মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
জাফরান এর ব্যবহারঃ
১।কিছু মানুষ প্রাকৃতিক আভা পেতে সরাসরি মুখে জাফরান লাগান ,এতে ত্বকের মসৃণতা ও উজ্জ্বলতা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। ব্রণ নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।
২।জাফরান খাবারে মশলা হিসেবেও ব্যবহার করা হয় কারণ এটি খাবারে হলুদ রঙ দেয়।এবং খাবারের স্বাদ ও সুগন্ধ বৃদ্ধি করে।
৩।জাফরান বিভিন্ন জটিল রোগ এর ঔষধ হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ ক্যান্সার,ইরেক্টাইল ডিসফাংশণ ইত্যাদি
এটি ফুলের একটি থ্রেডেড উদ্ভিদ অংশ যা জাফরান মশলা তৈরি করতে ব্যবহৃত হয় এটি প্রাথমিকভাবে হাতে কাটা এবং চাষ করা হয়। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মসলা হওয়ায় এটি প্রচুর উপকারিতা প্রদান করে এছাড়াও প্রসাধনী, পারফিউম ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। আপনি এটিকে মশলা বা কালারিং এজেন্ট হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও কয়েকটি ওষুধ তৈরিতেও জাফরান ব্যবহার করা হয়।
উপকারিতাঃ
১।জাফরান মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।এটি স্মৃতিশক্তির দুর্বলতা দূর করে।এটি আলঝেইমার রোগীদের উন্নতি দেখায়।
২।জাফরান ইরেক্টাইল ডিসফাংশনের জন্য উপকারী।
৩।জাফরান মাসিক প্রবাহকে প্রশমিত করে ,এবং মাসিকের ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
৪।জাফরান হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং রক্তচাপ কমায় কারণ এর নিয়মিত সেবন রক্তনালীগুলোকে প্রসারিত করে।এটি কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট এবং স্ট্রোক প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৫।জাফরান ক্যান্সারের চিকিৎসায় উপকারী কারণ এর যৌগগুলি কোলন ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলে এবং সুস্থ কোষগুলিকে অক্ষত রেখে তাদের বৃদ্ধি দমন করে।
৬।জাফরানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের কারণে ত্বকের এটি ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী। অনেক কসমেটিক কোম্পানি জাফরান ব্যবহার করে কারণ এটি আপনার ত্বকে দাগমুক্ত উজ্জ্বলতা দেয় এবং আপনার ত্বককে করে তোলে কোমল,এবং উজ্জ্বল৷
ইত্যাদি।
জাফরান ব্যবহারে সতর্কতাঃ
১।আপনি যদি গর্ভবতী হন তাহলে প্রথম কিছু মাস জাফরান ব্যবহার করা যাবে না।কারণ বেশি পরিমান জাফরান ব্যবহার করলে গর্ভপাত হতে পারে।
২।আপনি যদি স্তন্যপান করান অর্থাৎ বাচ্চাকে দুধ পান করার তাহলে জাফরান ব্যবহার করবেন না। কারণ এটি মা ও শিশু উভইয়ের ক্ষতি কতে পারে
৩।জাফরান মানুষের মেজাজ কে প্রভাবিত করে।বিশেষ করে যাদের বাইপোলার ডিসঅর্ডার আছে তাদের।
জাফরান ব্যবহারের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
পৃথিবীর সব কিছুর মতই এর ও বহু গুনাগুন এর পাশাপাশি কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে।যেমন শুষ্ক মুখ, অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া, মাথাব্যথা, পেটের সমস্যা, বমি বমি ভাব, ইত্যাদি হতে পারে।
চাষাবাদ ও বাজার
বিশ্ববাজারে জাফরান অত্যন্ত মূল্যবান। বিশেষত, ইরান, কাশ্মীর ও স্পেনের জাফরান আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়। এটি চাষের জন্য উষ্ণ ও শুষ্ক জলবায়ু প্রয়োজন।
জাফরান কিভাবে ব্যবহার করবেন?
জাফরান অনেক উপায়ে ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে জাফরান ব্যবহার করার সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি হলো জাফরানের কিছু অংশ পানিতে ভিজিয়ে রাখা।
প্রায় ১ বা ২ চা চামুচ জল নিন জাফরান গুলি ভিজিয়ে রাখুন কিছুক্ষন রেখে দিন যাতে এটির হ্লুদ রঙ বের হয় কিছুক্ষন পরে যখন এটি তার রঙ এবং গন্ধ ছেড়ে দেয় তখন এই জাফরান জলটি দুধে অথবা কোনো ফেসপ্যাক এ বা আপনি এটি যেভাবে ব্যবহার করতে চান করতে পারবেন।
সবশেষে আমরা বলতে পারি জাফরান শুধুমাত্র একটি মসলা নয়,এটি এক ঐতিহ্যের অংশ।এর সুগন্ধ, রঙ ও উপকারিতা একে অমূল্য করে তুলেছে।
আশা করি আমদের প্রত্যেকটা পোষ্ট আপনাদের উপকারে আসবে ।
বাংলাদেশে কাবাডি/হা-ডু-ডু খেলার ইতিহাস ও নিয়ম কানুন
বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং ফুটবল সম্পর্কীত গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন উত্তর
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের রাকাত সংখ্যা ও নিয়ম ।
জেনে নিন, দুধ -আনারস একসাথে খেলে কি মানুষ মারা যায় ? জেনেনিন এর সঠিক উত্তর ।
বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা সাধারন জ্ঞান,
ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সে ভর্তি পরিক্ষায় আসা (বাংলা) নৈবেতীক ২০১৮ -২০১৯ ।
বাংলাদেশের সকল জাতীয় দিবস সমূহ ।
Sentence কাকে বলে ও কত প্রকার । জানুন একদম সহজ ভাবে ।
বাংলা একাডেমির সর্বশেষ বানানের নিয়ম অনুসারে কিছু শুদ্ধ ।