বাংলার সুমিষ্টি ফল কাঁঠাল যেন পুষ্টিগুণেও সেরা

 

বাংলার সুমিষ্টি ফল কাঁঠাল যেন পুষ্টিগুণেও সেরা




Any help24



বাংলার গ্রামীণ জনপদে এক অনন্য জনপ্রিয় ও সুস্বাদু ফল হল কাঁঠাল। এটি আমাদের জাতীয় ফল এবং এরশাদ-ঘ্রাণ ও পুষ্টিগুণে সমাদৃত।


 

একটি পূর্ণবয়স্ক মানুষের শরীরে যে সকল পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন তার প্রায় অধিকাংশই হয়েছে কাঁঠালের মধ্যে। মৌসুমে বাঙালিরা এই মিষ্টি ও রসালো ফল কাঁঠালের স্বাদ নিয়ে থাকেন এবং  পুষ্টির অভাব পূরণ করে থাকেন। শুধু তাই নয় কাঁঠাল হলো পুষ্টির রাজা খাদ্য হিসেবে পরিচিত। কাঁঠাল শুধু ফল হিসেবেই নয় এটি বহু উপায়ে যেমন কাঁচা কাঁঠাল পাকা খোসা শিকড় সব ভাবেই খাওয়া যায় এবং এর প্রতিটি স্তরেই আছে পুষ্টির এক অনন্য উৎস। কিন্তু প্রতিটি জিনিসেরই খারাপ ভালো উভয় দিকে রয়েছে ঠিক তেমনি কাঁঠালের যেমন রয়েছে বহু উপকারিতা পাশাপাশি রয়েছে কিছু অপকারিতা। আসুন জেনে নেই গ্রীস্মের সু মিষ্টি ফল এবং আমাদের জাতীয় ফল কাঁঠালের কিছু উপকারিতা ও অপকারিতা সমূহ :


কাঁঠালের পরিচিতিঃ

কাঁঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল এর বৈজ্ঞানিক নাম :autocarpous heterophyllus এবং ইংরেজিতে jackfruit কাঁঠাল বাংলাদেশের জন্মানো যার প্রতিটি অংশই গুরুত্বপূর্ণ। 


কাঁঠালের বিভিন্ন ব্যবহারঃ


কাঁঠাল কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থাতে খাওয়া যায়। কাঁচা কাঁঠাল ও পাকা কাঁঠালের বিচি দিয়ে মজাদার তরকারি রান্না করা অনেকেরই পছন্দ। অন্যদিকে পাকা কাঁঠাল মিষ্টি ও সুগন্ধযুক্ত একটি ফল যা সরাসরি ফল হিসেবে খাওয়া যায়। এছাড়া পাকা কাঁঠালের রস দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি জ্যাম তৈরি করা যায়। 





Any help24




কাঁঠালের উপকারিতাঃ 

পুষ্টিবিদরা বলেছেন কাঁঠাল পুষ্টিগুণে ভরপুর এবং একটি প্রাপ্তবয়স্ক মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয় সব উপাদান ভিটামিন এ, সি,বি , থায়ামিন , রিবোফ্লাবিন , পটাশিয়াম , ক্যালসিয়াম , ম্যাগনেসিয়াম , ফাইবার,প্রোটিন্‌,অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট , ম্যাঙ্গানিজ ,বিটাকেরোটিন , কপার ও আয়রন সহ নানা রকমের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায় কাঁঠালে। এছাড়া শর্করা আমিষ ও বিভিন্ন রকমের ভিটামিনের ভান্ডার হচ্ছে এই কাঁঠাল। আসুন জেনে নেই কাঁঠালের থাকা বিভিন্ন উপাদানের বিভিন্ন রকম উপকারিতা সমূহঃ



১।কাঁঠালে থাকা ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।



২।কাঁঠালে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট ও ক্যালোরি। এজন্যই কাঁঠাল খেলে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া যায়। 



৩।কাঁঠালে থাকা সোডিয়াম ও পটাশিয়াম শরীরের ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্সকে ঠিক রাখে, যা উচ্চরক্তচাপ ও হার্টও ভালো রাখে।



৪।কাঁঠালে রয়েছে পটাশিয়াম, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।



৫।কাঁঠালে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে ও বলিরেখা কমিয়ে তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। 



৬।কাঠালে থাকা ভিটামিন সি চুল,দাঁত ও দাঁতের মাড়ি সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ক্যান্সার ও টিউমারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। 



৭।কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় হজমের সমস্যা দূর করে। যা হজমশক্তি বাড়ায়, পেট পরিষ্কার রাখে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।



৮।কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকায় হজমের সমস্যা দূর করে। যা হজমশক্তি বাড়ায়, পেট পরিষ্কার রাখে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।





Any help24




৯।মায়ের পুষ্টিতে: প্রতিদিন ২০০ গ্রাম পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভবতী মা ও তার গর্ভধারণকৃত শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয়ে যায়।দুগ্ধদানকারী মা তাজা পাকা কাঁঠাল খেলে দুধের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।



১০।কাঁঠালে থাকা ম্যাঙ্গানিজ ও খনিজ উপাদান যা রক্তে শর্করা বা চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।



কাঁঠালের অপকারিতাঃ


কাঁঠালের যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি কাঁঠালের উপকারিতা রয়েছে।  

যাদের ডায়াবেটিস আছে, তাঁদের কাঁঠাল খাওয়ায় কিছুটা বিধিনিষেধ আছে। কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁদের রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি, তাদের কাঁঠাল না খাওয়াই ভালো। তাছাড়াও অধিক পরিমাণে কাঠাল খেলে তা বদহজম হতে পারে।



আশা করছি আমাদের এই ভিডিওটি আপনাদের উপকারে আসবে। 



আরো জানুনঃ

শীতের সময় কলা খাবো নাকি খাবো না ? কলার উপকারিতা।

পাইলস হওয়ার কারণ লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহ এবং চিকিৎসা।

সর্দি কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা(Common cold and influenza)

ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।