আম শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও অনন্য
🥭গ্রীষ্মকাল মানেই হল আমের মৌসুম।গ্রীষ্মকালকে মধুমাস বলাও চলে। মধুমাস মানে রসে মাখামাখি করে আম খাওয়ার দিন।এই মধুর ও রসালো ফলটি শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর। বিশ্বজুড়ে এটি “ফলের রাজা” হিসেবে পরিচিত। আমের আবার রয়েছে বিভিন্ন জাত ও নাম। যেমনঃগোপালভোগ, ল্যাংড়া, খিরসাপাতি,হিমসাগর,হাড়িভাঙ্গা,ইত্যাদি।আম পছন্দ করেনা এমন মানুষ পৃথিবীতে খুব কম জনই আছে।আমপ্রিয় মানুষদের জন্য বিশেষজ্ঞরা আমের বের করেছে আমের বহু গুনাগুন।আসুন জেনে নেওয়া যাক ফলের রাজা আমের পুষ্টিগুণ সমূহঃ
আমের পুষ্টিগুণ
১।রোগ-প্রতিরোধঃ আমে থাকা ক্যারোটেনয়েড বাড়িয়ে দেবে আপনার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা।এছাড়া এতে সহযোদ্ধা হিসেবে ভিটামিন সি তো আছেই।
২।হজমের জন্যঃ আমে রয়েছে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার এনজাইম।এনজাইমগুলো যেকোনো প্রোটিন উপাদানগুলোকে সহজেই ভেঙে ফেলতে পারে।ফলে খাবার দ্রুত হজম হয়।
৩।চোখের জন্যঃ আমে রয়েছে ভিটামিন এ।যা আমাদের রাতকানা থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে।চোখের ভালো রাখতে বেশি বেশি আম খাওয়া ভালো।বিশেষ করে যাদের ড্রাই আই সমস্যা রয়েছে।
৪।ওজন কমাতেঃ আমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে যার ফলে একটা আম খেলেই শরীরের প্রতিদিনের ভিটামিনের চাহিদা পুরণ হয়ে যায় ।আবার আমে থাকা ফাইবার শরীরের পুষ্টি ও শক্তি যোগায়।যারা ওজন কমানোর কথা ভাবছেন তারা বার্গার, কোল্ড ড্রিংকস এর বিকল্প খাবার হিসেবে বেছে নিন আম।
৫।কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেঃ আম এ উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি,ফাইবার ও প্যাকটিন থাকায় কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা রাখে।
৬।ত্বকের জন্যঃআম এ থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল ও কোমল রাখতে সাহায্য করে।
৭।ক্যান্সার প্রতিরোধেঃ কোয়েরসেটিন, ফাইসেটিন, আইসোকোয়েরসেটিন, অ্যাস্ট্রাগ্যালিন, গ্যালিক অ্যাসিড ও মিথাইল গ্যালেট নামের কঠিন নামওয়ালা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো আছে আমে। স্তন ক্যান্সার থেকে শুরু করে কোলন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার ও লিউকেমিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে এগুলো বেশ কাজের।
৮।মনযোগ ও স্মৃতিরশক্তি বৃদ্ধিতেঃ কোনও কিছুর প্রতি মনযোগ ধরে রাখতে কষ্ট হলে উপকার করবে আম। মেমোরি বুস্টার হিসেবেও কাজ করে এ ফলটি।
৯।অ্যালকালাইন লেভেলঃ আমে আছে টারটারিক অ্যাসিড ও ম্যালিক অ্যাসিড ও সাইট্রিক অ্যাসিড। যা শরীরের অ্যালকালি নামের রাসায়নিকের ভারসাম্য ঠিক রাখে।
১০।হিট স্ট্রোক হ্রাস এঃ গরমকালে হিট স্ট্রোক অতি সাধারণ ঘটনা।আম আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং শরীরকে অতিরিক্ত গরম হওয়া কমায় ।যার ফলে হিট স্ট্রোক এর সম্ভবনা কমে যায়।
সতর্কতাঃ
🥭আম এর এত এত উপকারের পাশাপাশি কিছু সতর্কতাও রয়েছে।এক কাপ আম এ আছে ১০০ ক্যালোরি।যার ৯০ ভাগই আসে আমে থাকা চিনি থেকে।তাই ডায়াবেটিস রোগীরা আম খাওয়ার আগে সতর্ক থাকবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দিনে একটি পাকা আমের অর্ধেকটা খাওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়।
আশা করছি আমাদের এই ভিডিওটি আপনাদের উপকারে আসবে।
আরো জানুনঃ
শীতের সময় কলা খাবো নাকি খাবো না ? কলার উপকারিতা।
পাইলস হওয়ার কারণ লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহ এবং চিকিৎসা।
সর্দি কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা(Common cold and influenza)
ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।
ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।
সাইনোসাইটিস কী?লক্ষণ,করণীয় এবং চিকিৎসা।
নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।
চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।
শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।