কুরবানির ঈদে গরুর মাংস নিয়ে সচেতনতা

 

কুরবানির ঈদে গরুর মাংস নিয়ে সচেতনতা



Any help24 






আসছে কুরবানি ঈদ।এই ঈদ এ মুসলিম রা আল্লাহ তায়া’লার সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানি করে থাকে। যার মধ্যে গরু কোরবানি করা অন্যতম।গরুর মাংস খেতে যেমন সুস্বাদু ঠিক তেমনি এতে রয়েছে অনেক উচ্চ মানের প্রোটিন। গরুর মাংস কে রেড মিট বা লাল মাংস বলা হয়।গরুর মাংসে রয়েছে অনেক উপকারিতা। যেমন: রক্তস্বল্পতা রোধ, শারিরীক শক্তি বৃদ্ধি,রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা,ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি সহ রয়েছে নানা ধরনের। 

তবে এই গরুর মাংস খাওয়া নিয়ে রয়েছে অনেক সতর্কতা সেই সাথে উপকারও।আসুন জেনে নেই গরুর মাংস ক্ষেত্রে সতর্কতা সমুহ।




১।যাদের ওজন বেশি আছে বা কোলেস্টেরল,ফ্যাটিলিভারসহ নানা শারীরিক সমস্যা আছে, তাঁরা চর্বি বাদে মাংস খাবেন।কারন গরুর মাংসে বেশ অনেক পরিমানে চর্বি থাকে।




২।গরুর মাংসে থাকে ফসফরাস ও সোডিয়াম যার কারনে গরুর মাংস খাওয়ার পরপর পানি খেলে উচ্চ রক্তচাপ বেড়ে যেতে পারে ।তাই গরুর মাংস খাওয়ার পরে পানি খাওয়া যাবেনা।



৩।গরুর মাংস রান্নার সময় ভালোভাবে সিদ্ধ করে নিতে হবে।কারন ভালো সিদ্ধ না হলে গরুর মাংস ই কোলি ব্যাকটেরিয়ার কারণ হতে পারে।



৪।গরুর মাংস হজম হতে সময় নেয়।তাই এটি খাবার পর পেটফাপা ও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।তাই এটির সাথে আপনি চাইলে সালাদ ,দই,টমেটো খেতে পারেন।





Any help24





৫।অন্তঃসত্ত্বা নারীদের কম সেদ্ধ গরুর মাংস ও গরুর কলিজা খাওয়া উচিত না।এতে টক্সোপ্লাজমার ঝুঁকি বাড়তে পারে।



৬।গরুর মাংস রান্না করার ক্ষেত্রে মনে রাখবেন বেশি উচ্চতাপ এ দীর্ঘ সময় ধরে এটি রান্না করা জাবেনা।কারন উচ্চতাপ এ রান্না করলে মাংসে থাকা ভিটামিন বি প্রায় ৪০ শতাংশই নষ্ট হয়।



৭।যারা নিয়মিত মাংস খান তাদের মেটাবোলাইটের মাত্রা বেশি থাকে যা হৃদ্‌রোগের কারন।তাই সপ্তাহে ১৫০ গ্রাম এর বেশি মাংস না খাওয়াই ভালো।



৮।যদি নিয়মিত খাবারে প্রানিজ প্রোটিন রাখেন তাহলে কিডনির ক্ষতি ও শরীরে চর্বি জমতে পারে।তাই খাবারে বৈচিত্র্য আনতে হবে।



৯।আমরা অনেকেই ঈদ আসলে বিশেষ করে একদিকে অনেক বেশি মাংস রান্না করে থাকি এবং তা বারবার জাল দিয়ে খাই।এটি করা যাবেনা ।এতে মাংসটি খেতে সুস্বাদু লাগলেও পুষ্টিগুণ  থাকবে না।



আসুন জেনে নেই কারা কতটুকু পরিমানে মাংস খাবেন




Any help24




১।ডায়াবেটিস সমস্যা থাকলে সপ্তাহে গড়ে ২০০ গ্রামের নিচে মাংস খাবেন।



২।হৃদ্‌রোগ বা কিডনির সমস্যা আছে—এমন ব্যক্তিরা গড়ে ১০০ গ্রামের নিচে গরুর মাংস খাবেন।



৩।প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা সপ্তাহে ৭০ থেকে ৮০ গ্রামের বেশি খাবেন না।



৪।যাঁদের ওজন বেশি, তাঁরা ১ থেকে ২ টুকরার মাংস খাবেন।



৫।অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যদায়ী নারী এবং বাড়ন্ত বয়সের ছেলেমেয়ে যারা তারা গড়ে ২০০ গ্রাম মাংস খেতে পারবেন।



কুরবানির ঈদে গরুর মাংসের স্বাদ উপভোগ করুন, কিন্তু সচেতন থাকুন স্বাস্থ্যকর খাবারের ব্যাপারে!

সুস্থ থাকুন ,সুন্দর থাকুন।



আশা করছি আমাদের এই ভিডিওটি আপনাদের উপকারে আসবে। 



আরো জানুনঃ

শীতের সময় কলা খাবো নাকি খাবো না ? কলার উপকারিতা।

পাইলস হওয়ার কারণ লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহ এবং চিকিৎসা।

সর্দি কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা(Common cold and influenza)

ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।