সকাল বেলা খালি পেট এ খান এক গ্লাস বেল এর শরবত
🍋অনেক স্বাস্থ্যসচেতন মানুষই রয়েছে যারা সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস বেল এর শরবত খেয়ে থাকেন।বিষয় অনেক সাধারণ হলেও আপনি জানলে অবাক হবেন যে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে সহায়ক হতে পারে এই এক গ্লাস বেল এর সরবত।
বেল বহু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি ফল।সেই সাথে বেল এর আছে অনেক ধরনের ঔষধি গুণাগুন। যা আমাদের দেহের জন্য অনেক উপকার।প্রাচীন যুগ থেকেই আয়ুর্বেদীক জগতে বেল এর বহু গুনাগুন লেখা।বিভিন্ন উপকারী গুণের পাশাপাশি গরমের এই সময়টায় সকালের শুরুটা বেলের শরবত দিয়ে করতে পারেন।
নিয়মিত বেলের শরবত খেলে রয়েছে হাজারো উপকারিতা।আসুন জেনে নেই সংক্ষেপে সেই উপকারিতা গুলোঃ
১।ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনেঃ
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে বেল। পাকা বেল এ থাকে একটি মেথানল নামক উপাদান।।যেটি ব্লাড
সুগার কমাতে কাজ করে থাকে।তবে ব্লাদ সুগার কমাতে বেল এর শরবত খাওয়ার জন্য কোন
প্রকার চিনি ব্যবহার করা যাবে না।এক্ষেত্রে শরবত না খেয়ে পাক বেল এমনিই খাওয়া ভাল।
২।এনার্জি বাড়াতেঃ
এনার্জি বাড়াতে বেলের ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।বেল এ থাকে অনেক পরিমান এ ফাইবার যা
হজম শক্তি বারায়।আমরা জানি,১০০ গ্রাম বেল ১৪০ ক্যালরি এনার্জি থাকে।তাই এনার্জি বাড়াতে
বেলের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।।পাচনক্রিয়াকেও শক্তিশালী করে তোলে বেল।
৩।ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণেঃ
যাদের ব্লাড প্রেশার বেশি বা বেড়ে যাচ্ছে তারা বেল খেতে পারেন।কারন চিকিৎসকদের মতে বেল খেলে এই সমস্যা দূর হতে পারে।
৪।কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেঃ
বেল এর গুনাগুন এর মধ্যে সবথেকে বড় গুন হলো এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।কারণ বেল এ
আছে ল্যাকোটিভ তাই নিয়মিত বেল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও মুখের ব্রণ দূর হয় এবং ত্বক ভালো
থাকে।টানা ৩ মাস নিয়মিত বেল খেলে আপনি সহজেই উক্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
৫।আলসারের ঔষধ হিসেবেঃ
পাকা বেলের শাঁসে আছে এক ধরনের ফাইবার যা আলসার দূর করতে খুবই কার্যকরী। তাই
আলসারের ওষুধ হিসেবে খেতে সপ্তাহে তিন দিন খান বেলের শরবত।
৬।ক্যানসার নিরাময়েঃ
নিয়মিত বেল খেলে শরীরে থাকা ক্যানসার প্রতিরোধী শক্তি বেড়ে যায়।কারন বেল এ রয়েছে অ্যান্টি
প্রলেফিরেটিভ ও অ্যান্টি মুটাজেন উপাদান।যা ক্যানসার প্রতিরোধী হিসেবে কাজ করে।
৭।আর্থ্রাইটিস এর সমস্যায়ঃ
বর্তমানে খুব কম মানুষই আছে যাদের শরীরের হাড়ে কিংবা মাংসে ব্যাথা নেই।মূলত এমনটি হয়ে
থাকে আর্থ্রাইটিসের কারণে।এ রকম জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত আপনি বেল এর
শরবত বা পাকা বেল খেতে পারেন।
বেল খাওয়ার সবচেয়ে বড় উপকারিতা হলো এটি শরীরের ইমিউনিটি বুস্ট করে এবং এর পাশাপাশি
শরীরকে ঠান্ডা রাখে। এ ছাড়াও ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস, যক্ষ্মা, অপুষ্টিতেও ভালো উপকারে আসে
এই বেল। তাই গরমের এই সময় সকালে নিয়মিত খেতে পারেন বেল অথবা বেলের শরবত।
আশা করছি আমাদের এই ভিডিওটি আপনাদের উপকারে আসবে।
আরো জানুনঃ
শীতের সময় কলা খাবো নাকি খাবো না ? কলার উপকারিতা।
পাইলস হওয়ার কারণ লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহ এবং চিকিৎসা।
সর্দি কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা(Common cold and influenza)
ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।
ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।
সাইনোসাইটিস কী?লক্ষণ,করণীয় এবং চিকিৎসা।
নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।
চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।
শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।