গ্রীন টি ; প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিজেনের সেরা উৎস

গ্রীন টি ; প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিজেনের সেরা উৎস




Any help24
                            



বর্তমানে মানুষ অনেক বেশি সাস্থ্য সচেতন হয়ে দাড়িয়েছে।নিজেদের স্বাস্থ্যকে সুস্থ এবং সুন্দর করে তুলতে মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনের তালিকায় গ্রীন টি বা সবুজ চা যুক্ত করছে।যা বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় একটি নাম।ওজন কমানো থেকে শুরু করে ,সৌন্দর্জ্য বৃদ্ধি এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ এও এই সবুজ চা এর ভুমিকা অপরিসিম।সবুজ চা এর গুনাগুন নিয়ে আলোচনা করলে যেন শেষই হবেনা।তবে প্রতিটি ভালো জিনিসের যেমন উপকারিতা আছে ঠিক তেমনি অপকারিতাও আছে।আজকের এই ব্লগ এ আমরা জানব সবুজ চা এর ভালো ,খারাপ দিক এবং এর বিস্তারিত -



গ্রীন টি বা সবুজ চায়ের উপকারিতা



১। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ


সবুজ চা শরীরের কোষগুলোকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করে।কারন এতে রয়েছে ক্যাটেচিন (Catechins) নামক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।এছাড়াও এটি শরীরের বার্ধক্য রোধ এ সহায়তা করে ।এবং শরীরকে সতেজ রাখে।ক্ষতিকর টক্সিন মুক্ত রাখে।



২। হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে


নিয়মিত সবুজ চা পান করলে আমাদের রক্তে যেসব ক্ষতিকর বা খারাপ কোলেস্ট্রেরল থাকে তার মাত্রা কমে জায়।এবং সেইসাথে ভালো কোলেস্ট্রেরল এর মাত্রা বাড়ে। ফলে এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন এ রাখে এবং হৃদরোগ এর ঝুকি কমে যায়।


৩।ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক


সবুজ চা বিপাকক্রিয়া বাড়িয়ে দিয়ে আমাদের শরীরে থাকা অতিরিক্ত ওয়জন কমিয়ে আনে।বিশেষ করে পেটের চর্বি কমাতে এটি বেশ উপকারী।


৪।স্ট্রেস কমানো


সবুজ চায়ে থাকা এল-থিয়ানিন মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং এক ধরনের প্রশান্তি এনে দেয়, যা ব্যস্ত জীবনে খুবই প্রয়োজনীয়।


৫।ক্যান্সার প্রতিরোধ এ বিশেষ ভূমিকা রাখে


গবেষণায় দেখা গেছে, সবুজ চায়ে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিছু নির্দিষ্ট ধরনের ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি রোধে সহায়তা করতে পারে, যেমন স্তন ক্যানসার, ও কোলন ক্যানসার।


৬।মুখ ও দাঁতের যত্নে


সবুজ চায়ে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে মুখের দুর্গন্ধ দূর করে এবং দাঁতের ক্ষয় রোধে সহায়তা করে।



Any help24



গ্রীন টি সবুজ চায়ের অপকারিতা



১।পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া


যদিও সবুজ চা এ ক্যাফেইনের মাত্রা অনেক কম।তবও যেহেতু এখানে ক্যাফেইন আছে তাই অতিরিক্ত খেলে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।যেমনঃঅনিদ্রা,মাথা ব্যাথা এছাড়াও হৃদস্পন্দনও বেড়ে জেতে পারে।


২।গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের জন্য সতর্কতা


গর্ভকালীন সময়ে কোন মা যদি অতিরিক্ত গ্রীন টি পান করে।তাহলে গর্ভের শিশুর বিকাশে ব্যাপক বাধা পরে।


৩।ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া


নিয়মিত যারা ঔষধ সেবন করে তাদের ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রিন টি পান করা উচিত।কারণ এটি নিয়মিত পান করলে কিছু ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।যেমনঃ রক্ত পাতলা করার ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ ইত্যাদি।


৪।লিভার সমস্যার ঝুঁকি


অতিরিক্ত গ্রিন টি এক্সট্র্যাক্ট বা সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে লিভারে চাপ পড়তে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর হতে পারে।


৫।রক্তসল্পতার কারন


খাবারের সাথে নিয়মিত গ্রীন টি খেলে তা শরীরের আয়রন শোষন কমিয়ে দেয়।যা পরবর্তীতে দীর্ঘমেয়াদী রক্তসল্পতার কারন হতে পারে।



জেনে নিন কখন এবং কিভাবে খেতে হয় এই সবুজ চা


  • খালি পেটে না খাওয়াই ভালো, কারণ এতে অ্যাসিডিটির সমস্যা হতে পারে।

  • খাবারের অন্তত ৩০ মিনিট আগে বা পরে পান করা ভালো।

  • অতিরিক্ত পান থেকে বিরত থাকুন।দিনে ২-৩ কাপ এর বেশি খাবেন না।

  • চিনি বা দুধ না মিশিয়ে পান করাই স্বাস্থ্যকর।


সবশেষে বলব সবুজ চা নিঃসন্দেহে একটি স্বাস্থ্যকর পানীয়, তবে তা সঠিক মাত্রায় ও সঠিক সময়ে গ্রহণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। এটি যেমন শরীরকে সতেজ রাখে, তেমনি মানসিক প্রশান্তিও এনে দেয়। তবে অতিরিক্ত গ্রহণ করলে এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তাই সচেতনভাবে এবং পরিমিতভাবে সবুজ চা পান করুন—আপনার সুস্থ জীবনের পথে এটি হতে পারে এক নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।





আশা করছি আমাদের এই ভিডিওটি আপনাদের উপকারে আসবে। 



আরো জানুনঃ

শীতের সময় কলা খাবো নাকি খাবো না ? কলার উপকারিতা।

পাইলস হওয়ার কারণ লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহ এবং চিকিৎসা।

সর্দি কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা(Common cold and influenza)

ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।