ত্বকের সংক্রমণ:স্ক্যাবিসের সতর্কতা

 ত্বকের সংক্রমণ:স্ক্যাবিসের সতর্কতা


Any help24


স্ক্যাবিস কি? 


স্ক্যাবিস হল এক ধরনের চর্ম রোগ অর্থাৎ চুলকানিযুক্ত ত্বকের সমস্যা। যা সারকপটিস নামক পরজীবীর দ্বারা হয়। এটি এক ধরনের মারাত্মক ছোঁয়াচে রোগ। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এটি ছড়ায় এবং অত্যন্ত চুলকানি ও অস্বস্তি অনুভব হয়। 


আসুন জেনে নেই স্ক্যাবিস এর লক্ষণ গুলো কি কি?? 


স্ক্যাবিস সংস্পর্শে আসার প্রাথমিক চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই রোগের লক্ষণ গুলি সরাসরি প্রকাশ নাও  পেতে পারে। তবে ধীরে ধীরে অনিয়মিতভাবে আপনার ত্বকে ছোট ছোট ফুসকুড়ি বা ফোসকা দিয়ে তৈরি এই রোগের বৈশিষ্ট্য গুলি প্রকাশ পেতে থাকবে। প্রধান দুটি লক্ষণ হল

১। চুলকানি বিশেষ করে রাতে 

২।ত্বকে ছোট ছোট গর্ত বা ঘা হওয়া 



স্ক্যাবিস হওয়ার সাধারণ অঙ্গগুলি হল :

১।আঙুলের মাঝে

২।বগলে 

৩।কোমরের চারপাশে

৪।ভিতরের কনুইয়ের উপর.

৫।পায়ের তলায়

৬।কব্জির ভেতর বরাবর 

 ৭।স্তনে

 ইত্যাদি। 


তবে শরীরের এর অন্য চর্মরোগকে স্ক্যাবিস ভেবে ভুল করবেন না যেমন  ব্রণ, ফুসকুড়ি। যদি ক্রমাগত চুলকানি হতে থাকে তাহলে সেটি স্ক্যাবিস লক্ষণ


এই রোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা হলেন :


১।যৌন সক্রিয় প্রাপ্তবয়স্করা

২।শিশু

৩।ছোট  বাচ্চাদের মা

৪।বিভিন্ন নার্সিং হোমে বা কোনো হসপিটাল অথবা অধিক ঘনবসতি সম্পূর্ণ কোন জায়গা। 


শিশু ও বয়স্কদের চুলকানির প্রবণতা বেশি দেখা দিবে।




Any help24




 

যেভাবে ছড়ায় 


যেহেতু স্ক্যাবিস এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ তাই  দীর্ঘ সময় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে থাকলে এটি হয়। আবার যদি আক্রান্ত  ব্যক্তির পোশাক বিছানার চাদর তোয়ালে বা ব্যবহৃত কোন জিনিস ব্যবহার করা হয় তাহলে এটি ছড়ায়। তবে একই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সংক্রমণ দ্রুত ঘটে। 




জেনে নিন কিভাবে স্ক্যাবিস প্রতিরোধ করবেন :


স্ক্যাবিস ক্ষেত্রে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। স্ক্যাবিস প্রতিরোধের কয়েকটি উপায় হল :

১।স্ক্যাবিস এ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন 

২।নিয়মিত গোসল করুন 

৩।নোংরা পোশাক পরিবর্তন করুন 

৪।প্রায় প্রায়ই বিছানার চাদর পরিবর্তন করুন 



চিকিৎসা :


স্ক্যাবিস অতিরিক্ত হাড়ে ছড়িয়ে পড়লে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন।বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ত্বকে সরাসরি প্রয়োগের জন্য কিছু মলম ক্রিম বা লোশন দিয়ে থাকবে (যেমন পারমেথ্রিন বা আইভারমেকটিন)। চিকিৎসা নেওয়ার আগে বা যেকোনো ওষুধ সেবনের আগে অবশ্যই ও এটির ক্ষতিকর ও ভালো দিক সম্পর্কে জেনে নিবেন। 



জেনে রাখা ভালো যেহেতু স্ক্যাবিস এক ধরনের ছোঁয়াচে রোগ তাই এটি যৌন যোগাযোগের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।যৌন মিলনের সময়, ত্বকে সরাসরি স্পর্শ করলে স্ক্যাবিস সংক্রমণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।  





বাংলাদেশে অনেকেই চর্মরোগকে গুরুত্ব দেন না, যার ফলে স্ক্যাবিসের মতো সংক্রমণ সহজেই ছড়ায়। তাই স্কুল, কমিউনিটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন।

সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পরিচ্ছন্নতা ও সঠিক চিকিৎসা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।



আশা করছি আমাদের এই ভিডিওটি আপনাদের উপকারে আসবে। 



আরো জানুনঃ

শীতের সময় কলা খাবো নাকি খাবো না ? কলার উপকারিতা।

পাইলস হওয়ার কারণ লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহ এবং চিকিৎসা।

সর্দি কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা(Common cold and influenza)

ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।