হার্ট অ্যাটাক হঠাৎ করে হয় না!
আসলে শরীর কয়েকদিন, এমনকি কয়েক সপ্তাহ আগেই আমাদের সতর্ক সংকেত দিতে থাকে।
কিন্তু আমরা সেটা বুঝতে পারি না বা বা বুঝতে পারলেও গুরুত্ব দিই না।
আজকের আমি বলবো, হার্ট অ্যাটাক আসার আগে কী কী লক্ষণ দেখা যায় এবং সেই সাথে করণীয় প্রতিকার।
হার্ট অ্যাটাকের আগাম কিছু লক্ষণাদি
বুকে ব্যথা বা চাপ দিয়ে ব্যথা অনুভব করা
এমন মনে হবে যে বুকের উপরে হালকা ব্যথা করছে বা চাপ অনুভব করছে জালা বা ভারি লাগছে এটা সবচাইতে সাধারণ একটি লক্ষণ বা সেন্ট্রোম বলতে পারেন অনেক সময় এই ব্যথা পেট গলা চোয়াল এদিকে ছড়িয়ে যেতে পারে আর ঠিক এই সময়টিতে আপনাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে যদি এ ধরনের সিস্টেম থাকে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করতে হবে ।দম বন্ধ হয়ে যাওয়া বা শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি অনুভব করা
আপনি প্রতিদিনের নাই কাজ করছেন বা হাটাহাটি করছেন এই সময় আপনি অনুভব করলেন যে আপনার শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে বা আপনি নিশ্বাস নিতে পারতেছেন না তাহলে আপনাকে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে এটি হার্টের রক্ত চলাচল সঠিকভাবে হচ্ছে না তার সিগন্যাল দিচ্ছে আপনাকে বা ইঙ্গিত দিচ্ছে এই সময় আপনাকে অবশ্যই আর সচেতন হতে হবে।অল্পতেই অনেক বেশি ক্লান্তি অনুভূত হওয়া বা মাথা ঘুরানো
প্রতিনিয়ত কাজ করছেন কাজের পর যদি হঠাৎ এমন হয় যে আপনি দুর্বল হয়ে যাচ্ছেন বা বসা থেকে দাঁড়ানোর পর হুট করে মাথা ঘুরাচ্ছে নিজের অনেক ক্লান্ত মনে হচ্ছে এই ধরনের লক্ষণ বা সেন্ট্রোম যদি থাকে তাহলে আপনাকে বুঝতে হবে যে এটি আপনার হৃদযন্ত্রের সমস্যার একটি পূর্ব নির্দেশনা দিচ্ছে।শরীর অনবরত ঘামা বা ঠান্ডা ঘাম হওয়া
আপনি যখন দেখবেন যে আপনার শরীর গরম লাগলেও ঘামতেছে আবার গরম না লাগলেও জানতে চাই আমরা যেটাকে বলি যে সব সময় ঘামে ভিজে থাকা এবং সেটা ঠান্ডা জাতীয়করণ এটি হার্ট অ্যাটাকের আগে খুব সাধারণ একটি উপসর্গের মধ্যে অন্যতম অকারনে ঘামা এটি হলেও আপনাকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।অনেক সময় বমি বা হজমের সমস্যা
আমাদের অনেক সময় গ্যাস্ট্রিক বা অম্ল এই ধরনের সমস্যা হয় বা খাবার হজম হয় না এতে করে বমি বমি একটা ভাব থাকে বা গ্যাসের সমস্যাটা অনেক বেশি পরিমাণ হয় প্রকোপ হয় এ ধরনের সিমটম থাকলে আপনাকে বুঝতে হবে যে এটিও হার্ট অ্যাটাকের একটি সিগন্যাল হতে পারে কারণ সবসময়ইবড় বড় লক্ষণ গুলোই থাকবে না ছোট ছোট লক্ষণ গুলো থাকবে সো গ্যাস্ট্রিক বা ফুট করে বমির সৃষ্টি হয় এটি একটি লক্ষণ।
এবার চলো আলোচনা করা যায় যে হার্ট অ্যাটাক প্রতি রোধের উপায় গুলো কি কি অর্থাৎ এই যে সকল লক্ষণ এবং চিহ্ন নিয়ে আমরা আলোচনা করলাম সেগুলো যদি ইনস্ট্যান্ট পাওয়া যায় তাহলে আমরা প্রাথমিকভাবে কি ব্যবস্থা বা প্রতিরোধ গ্রহণ করতে পারবো
হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধের উপায়
আপনার জীবনযাত্রার পরিবর্তন করুন
সকালে অথবা বিকেলে অন্তত ৩০ মিনিট হাটাহাটি করো তেল চর্বি এই সকল খাবার গুলো পরিহার করুন।আমাদের উচিত নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
সাধারণ যেরকম ব্লাড প্রেসার কোলেস্টরেল ডায়াবেটিস এগুলো আমাদের নিয়মিত চেকআপ করা উচিত এর পাশাপাশি যদি এমন হয় যে পারিবারিক ইতিহাস থাকে তাহলে বছরে অন্তত একবার ecg করানো জরুরি।মোটামুটি ভাবে ধূমপান ও অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন
বলা হয়ে থাকে যে হার্ট অ্যাটাকের সবচাইতে বড় শত্রু হচ্ছে ধূমপান বা অ্যালকোহল তাই এই ধূমপান এবং অ্যালকোহলকে এড়িয়ে চললেই আপনি অনেকটা নিশ্চিত করতে পারবেন আপনার এই অনিশ্চিত মৃত্যুটিকে।অতিরিক্ত চিন্তা করা বা স্ট্রেস নেওয়া
আমরা ছোট ছোট বিষয়গুলো নিয়ে অনেক বেশি টেনশন দুশ্চিন্তা করে থাকি এগুলোকে কমাতে হবে প্রয়োজনে মেডিটেশন নামাজ রিলাক্সেশন এক্সারসাইজ বা একটু পরিচিতদের সাথে কিছু সময় আড্ডা দিয়ে কথা বলে নিজেকে স্ট্রে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
সর্বশেষজরুরি অবস্থায় করণীয় কি
যদি কারো বুকে ব্যথা হয় এবং আপনি যদি ফেল করতে পারেন যে উপরের সিমটম গুলো আপনার ভিতরে আছে তাহলে পাঁচ মিনিটের বেশি আপনি স্প্রে করবেন না এবং ব্যথাটা যদি পাঁচ মিনিটের বেশি হয়ে যায় এবং সাথে শ্বাসকষ্ট ঠান্ডা গ্রাম হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে তবে দেরি না করে সাথে সাথে হাসপাতালে চলে যাবেন কিংবা ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন অনেক সময় আপনি আপনার নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।আরো জানুনঃ
শীতের সময় কলা খাবো নাকি খাবো না ? কলার উপকারিতা।
পাইলস হওয়ার কারণ লক্ষণ ও উপসর্গ সমূহ এবং চিকিৎসা।
সর্দি কাশি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা(Common cold and influenza)
ডেঙ্গুজ্বর কী ? প্রকার,লক্ষণ, এবংচিকিৎসা।
ম্যালেরিয়া কী ? প্রকারভেদ,লক্ষণ, এবং চিকিৎসা।
সাইনোসাইটিস কী?লক্ষণ,করণীয় এবং চিকিৎসা।
নিউমোনিয়া কী?লক্ষণ এবং চিকিৎসা।
চিকনগুনিয়া কি?লক্ষণ,কিভাবে ছড়ায়,প্রতিরোধিএবং চিকিৎসা।
শীর্ষ ১০ ধরনের ক্যানসারের আক্রমন হয় বাংলাদেশে।
NOTE: সকল ঔষধ রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন ।